স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। যদিও আমরা বুঝে না-বুঝে সামাজিক সংগঠন তৈরি করে ফেলি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গঠনতন্ত্র
সংগঠনে ভিন্ন লোকের ভিন্ন মতামত থাকে। এই সকল ভিন্ন মতগুলোকে আমরা একমতে উপন্নিত করতে পারিনা। যে কারনে বেশিরভাগ সংগঠনই সংগঠন গঠনকরার কিছুদিন পরেই ভেঙ্গে যায়। এজন্য একটি গঠনতন্ত্র খুবই প্রয়োজন।
একটি সংগঠন তৈরি করা যতোটা না কঠিন। তার চেয়ে বেশি কঠিন হলো সংগঠনটির গঠনতন্ত্র তৈরি করা। কারন সংগঠনের গঠনতন্ত্র যতো মজবুত হবে। ততো সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সংগঠনটি চলবে।
এক কথায় বলতে পারি সংগঠনের গঠনতন্ত্রই হলো সংগঠনের ভিত্তি। এই গঠন্তন্ত্রের উপরেই নির্ভর করে সংগঠনের বাঁচা মরা।
যাইহোক, আজ আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত সামাজিক সংগঠনে গঠনতন্ত্র। আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। মজার বিষয় হলো আমাদের চারু যুব উন্নয়ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠিতো। চিন্তার কারন নেই, আমাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র সম্পর্কেও বলবো। যাহাতে আপনারা আপনাদের পছন্দ মতো ধারা বেঁচে নিয়ে আপনাদের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিতো করতে পারেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গঠনতন্ত্র
সংগঠনের গঠনতন্ত্র যদি নরমাল হয় তা হলে সেই সংগঠন টিকিয়ে রাখাটা দূর্ষাধ্য হয়ে যায়।

সংগঠনের নীতিমালা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে এর মূল বিষয় একই। তার মানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গঠনতন্ত্র, সামাজিক সংগঠনের নীতিমালা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নীতিমালা, সামাজিক সংগঠনের সংবিধান , ছাত্র সংগঠনের গঠনতন্ত্র, সামাজিক সংগঠনের কমিটি গঠনের নিয়ম,, যুব সংগঠনের গঠনতন্ত্র, ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র এগুলির নাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও সবগুলির গঠনতন্ত্র প্রায় একই।
সামাজিক সংগঠনের গঠনতন্ত্রঃ
সামাজিক সংগঠনের গঠনতন্ত্র
১। সংগঠনের নাম-করন।
২। সংগঠনের স্থায়ী ঠিকানা।
৩। সংগঠনের পরিচালনার স্থান।
৪। সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
৫। সংগঠনের মিশন ও ভিশন কাল।
৬। সংগঠনের লোগো ও আইকন।
৭। সংগঠনের স্লোগান
৮। সংগঠনের সদস্য পদে যোগদানের যোগ্যতা ও নিয়ম-কাণুন।
৯। সংগঠনের সদস্য পদের স্থর বা বিভাগ।
১০। সদস্য পদ বাতিল হওয়ার কারন।
১১। খালি বা শূণ্য সদস্যপদ পূরণ এবং সদস্য-পদ পুনোর্বহাল প্রক্রিয়া।
১২। ফাউন্ডেশনের সদস্যদের অধিকারের নীতিমালা।
১৩। ফাউন্ডেশন এর অবোকাঠামো।
১৪। কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের নীতিমালা।
১৫। কার্যনির্বাহী কমিটির নির্ধারিত দায়িত্ব- কর্তব্য ও ক্ষমতার সময়সীমা।
১৬। ফাউন্ডেশনের উপকমিটি গঠন প্রক্রিয়া।
১৭। ফাউন্ডেশনের এডহক কমিটি গঠনের নীতিমালা।
১৮। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রক্রিয়া গঠন।
১৯। ফাউন্ডেশনের সভা সমাবেশ করার বিধি-বিধান।
২০ সভা সমাবেশের নোটিশ প্রদানের প্রক্রিয়া।
২১। সংগঠনের অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন।
২২। প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎস লিপিবদ্ধের বিধি বিধান।
২৩। ফাউন্ডেশনের প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যয়ের খাত এর বিধিমালা প্রনয়ণ।
২৪। হিসাব রক্ষনা-বেক্ষন কর্মকর্তার নীতিমালা প্রনয়ণ।
২৫। ফাউন্ডেশনে পরিচালনার এক বা একাধিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধ বিধিমালা প্রনয়ণ।
২৬। ভোটার প্রক্রিয়া সনাক্তকরণ নীতিমালা।
২৭। বিশ্বাস অবিশ্বাস এর সীমানার মানদণ্ড নির্ধারণ।
২৮। সদস্যদের মত-বীমত এর সমাধানের নীতিমালা প্রণয়ন।
২৯। প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তি ঘোষণার মানদণ্ড নির্ধারণ।
৩০। সংগঠন পরিচালনার জন্য দায়িত্বশীলদের শপথ গ্রহন।
সংগঠনের নীতিমালা সমূহ
১। সংগঠনের নাম ঠিক করা।
২। সংগঠনের স্থায়ী ঠিকানা ঠিক করা।
৩। সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার এলাকা নির্ধারণ করা।
আশা করা যাচ্ছে, খুব শীগ্রই এই সংগঠন এর কার্যক্রম সারাদেশে পরিচালিত হবে।
তবে সরকার অনুমোদিত কাগজপত্রের কাজ এখনো পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয় নাই।
৪। সংগঠনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে।
তবে এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো-
বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন করার লক্ষ্যকে বুঝায়।
তাছাড়া ভাষা, সাহিত্য ও সংষ্কৃতি লালন করতে হবে। এবং পরিবেশ ও মানবাধিকার হেফাজত করা সহ অন্যান্য বিষয় আন্দোলন সৃষ্টি করে দেশ ও মানুষের সেবার আস্থা অজর্ন করাকে বুজায়।
এক কথায় সমাজ ও দেশের ভালো ভালো কাজের আঞ্জাম দিয়ে। একটি সুস্থ সমাজ উপহার দেয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকাটা জরুরী।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমি কিছু বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি। যা সংগঠন টিকিয়ে রাখতে আপনাদের দারুনভাবে সাহায্য করবে। আশাকরি মনযোগ সহকারে পড়বেন।
সমাজ ও দেশের মানুষের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য কমিটি ও নেতা-নেত্রীর দায়িত্বের অনুভুতি জাগ্রত করতে হবে। সমাজের সকল উন্নয়ন মূলক স্থাপনাগুলি রক্ষনাবেক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাজের সাথে দেশেরও ঐতিয্য স্থাপনাসমূহ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করতে হবে।
তথ্য ও অধিকার সংরক্ষনের পাশাপাশি উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত সমস্যাগুলো প্রতিহত করতে হবে। আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে বাজেট বন্টন করতে হবে। উন্নয়ন সম্ভাবনা স্থানগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এবং সে-সকল স্থানগুলোর রিপোট তৈরি করে পেশ করতে হবে। একই সাথে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে কর্ণগোচর এর তত্বাবধানে নিয়ে আসার সুব্যবস্থা করতে হবে।
২. দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ঐতিহ্য রক্ষার জন্য। প্রত্যেক সেক্টরে আলাদা আলাদা বিভাগ তৈরি করতে হবে। যাহাতে আলাদা ভাবে পরিচালিত হয় এবং আলাদা ভাবে জবাবদিতিতার ব্যবস্থা থাকে। তাহলে কাজের প্রতি মনোনিবেশ থাকবে। নীজ দায়িত্ব প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাজ সম্পন্ন করতে।
আরও পড়ুন… সামাজিক সংগঠনের কমিটি গঠনের নিয়ম
৩। একটি উন্নয়ন ফান্ড গঠন করতে হবে। শিল্পী ও উন্নয়ন এর কর্মকর্তা ও কর্মীদের একত্রতিত করতে একটি কন্ফারেন রুম বা ক্লাব তৈরি করতে হবে। যেনো সহজেই কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন করা যায়।
৩. যে সকল জ্ঞানী-গুনিজন ও অভিজ্ঞ লোকজন। ইতিপূর্বে সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা, প্রযুক্তি ও সমাজ সেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। তাদেরকে বিভিন্ন সমা সমাবেশে আমন্ত্রণ করতে হবে এবং সম্মাননা পদক প্রদান করা হবে। আর এই সম্মাননা পদক দেয়ার জন্য আলাদা ফান্ড গঠন করাটা জরুরি।
কারন গুনীদের সম্মান করলে তার বাস্তব প্রভাব বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মীদের উপরে পরবে।
৪. ঘূর্নিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস সহ বিভিন্ন আপদকালীন সময়ে। দূর্গতের মাঝে দ্রুত সময়ের মধ্যে ত্রাণ বিতরনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সকল বিপদ-আপদ থেকে মূক্তি পেতে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে। ঝুকিপূর্ণ এলাকা সনাক্ত করতে হবে। নদীরক্ষা ও নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে হবে।

যেমন অস্থায়ী বাধ নির্মাণ, বৃক্ষরোপন কীতে হবে। বনায়ন ও নার্সারী প্রকল্পের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা অবৈধভাবে নদী-নালা থেকে বালু উত্তোলন করে। এবং ভেড়ী-বাধের ক্ষতি করে। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের অর্থায়নে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। শক্তহাতে এসকল অপরাধীদের নির্মূল করতে হবে।
সেই সাথে বন্যায় কবলিতো দুর্গতদের পুনর্বাসনএর ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। শিক্ষার হার বৃদ্ধি করার জন্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। উচ্চমানের শিক্ষার পাঠ পুস্তক দিয়ে যুগোপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬। নারী ও শিশু পঁাচার বন্ধ করডে হবে। এই সকল অপহরণকারী ও অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গরে তুলতে হবে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭। নিরক্ষরতার হার কমানোর লক্ষে শিক্ষা মূলক কার্যক্রম গতীশিল রাখতে হবে। যাতে গ্রাম, পাড়া, মহল্লা ও শহরের গরীব অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষিত করতে হবে।
এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কারিগরি-শিক্ষা, ইংরেজি-শিক্ষা, গণ-শিক্ষা, শিশু-শিক্ষা, বয়স্ক-শিক্ষা, আরবী-শিক্ষা সহ বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে হবে। এসকল হতদরিদ্র মানুষদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান। নাচ, গান, নাটক, খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখডে হবে। এবং পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সকল শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
যেমন- সেলাই মেশিন, হাস মুরগী পালন, গরু-ছাগল পালন, মাছ চাষ, মাসরুম চাষ, প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাই, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ফটোশপ, এপস্ ডেভলপিং সহ নানান শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
যেনো এই সকল শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হাতে কলমে দক্ষ হতে পারে। এর পাশাপাশি কর্মস্থলের ব্যবস্থা করডে হবে। দুস্ত, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান এবং বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮। পথশিশুদের আবাস্থলের ব্যবস্থা করে হবে। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করাটাও সামাজিক সংগঠেন গঠনতন্ত্র এর আওতায় পরে।
৯। মাদক সেবনকারীদের জন্য মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্র গঠন করতে হবে।
মাদক বিক্রেতাদের সমাজ থেকে নির্মূল করার জন্য। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রসানকে সহায়তা করতে হবে।
১০। অসাস্থকর খাবার পরিহারের জন্য। সামাজিন সেমিনার, লিফলেট বিতরণ সহ বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কাজ করতে হবে।
১১। করোনা মোকাবিলায় মাক্স, স্যাভলন, সাবান ইত্যাদি দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। রাষ্ট্রের ঘোষিতো আইনানুযায়ী চলতে মানুষদের উৎসাহিত করডে হবে।
১২। হাসপাতাল ও ক্লিনিক নির্মান করতে হবে। যেনো চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষেরা সল্পমূল্যে বা ফ্রীতে সুচিকিৎসার নিতে পারে।
আরও পড়ুন… সংগঠন রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
১০। দেশোর জনসংখ্যা হ্রাস করার লক্ষ্যে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচী চালু করতে হবে। এজন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক শিক্ষা দিতে হবে। স্বাস্থ্য সেবাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি জন্ম ও মৃত্যুর তালিকা গঠন করার ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মের বাস্তব চিত্র দেখার জন্য।

১১। নারীদের সমাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এ জন্য নানানরুপী কর্মস্থল, যোগ্যতা ও কনফারেন্সের এর আয়োজন করতে হবে। সমাজে নির্যাতিত, অবহেলিত মহিলাদের আইনগত সহায়তা প্রদান করতে হবে।
সমাজের অবহেলিতো মহিলাদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা বজায় রাখতে। কারিগরি শিক্ষা দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে হবে।
১২। কৃষি সেক্টর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের অন্যতমো বিষয়। উন্নত পদ্ধতিতে ফলন বৃদ্ধি করতে কৃষকদের কৃষি বিষয়ে শিক্ষার ব্যবসৃথা করতে হবে।
কারন কৃষি শিক্ষার মাধ্যমে কৃষক জানতে পারবে। একই সময়ে সমোপরিমান জমিতে কিভাবে বহু গুনে ফলন উৎপাদন করা যায়। এজন্য কৃষি শিক্ষার পাশাপাশি কৃষি কাজে প্রয়োজনীয় কৃষি সামগ্রী দিতে হবে।
যেমন – বিভিন্ন ফসলের বীজ, সার, ঔষধ সহ বিভিন্ন উপকরন ফ্রীতে বা নামমাত্র মূলে দিতে হবে।কোলেস্টেরল, হিমাগার বা গুদাম নির্মান করডে হবে। যাহাতে কৃষক তার উৎপাদিত পন্য সংরক্ষণ করতে পারে। এবং সঠিক সময়ে কোন দালালচক্র ছাড়াই সুলভ মূল্যে সেই পন্য বাজারজাত বা রপ্তানি করতে পারে।
এর ফলে কৃষক তার কষ্টের উৎপাদিত পণ্যের নেজ্য মূল্য পাবে। যা পরবর্তীতে কৃষকদের কৃষি কাজে আরও উৎসাহিত করবে।
তাছাড়া মৌমাছি পালনকরা, হাঁস-মুরগী পালন, মাছ চাষ, গরু-ছাগলের খামার তৈরি করা। এ সকল পদক্ষেপের পাশাপাশি আরও নানান কৃষি বিষয়ে বেকার যুবক-যুবতী ও মহিলাদের চাষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নানান কৃষি কর্মে ব্যবহৃত সরকারী খাস জমি লীজ নিতে পারেন।
১৪/ দারিদ্র বিমোচনের জন্য দুস্ত, ভূমিহীন, গৃহহীন এবং নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর জন্য কর্মসূচি বা পরিকল্পনা গ্রহন কীতে হবে।
তাছাড়া শিক্ষিতদের মধ্যে যারা বেকার আছেন এবং সমাজে অবহেলিত যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসূচি গ্রহন করডে হবে।
১৫/ অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। মাদক সেবনকারী, মাদক বিক্রেতা ও ধুমপানকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে
বাল্য-বিবাহ, একাধিক-বিবাহ, ইভটিজিং, যৌতুক, নারী নির্যাতনের, বিবাহ নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রী সহ সামাজিক সকল ব্যাধি প্রতিরোধের লক্ষে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
ঘুর্নীঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অগ্গিকান্ড, মহামারী রোগ সহ বিভিন্ন দূর্যোগের সময় দূর্গত মানুষদের সেবা, সহযোগিতাও পুর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সমাজের মানুষদের কিছু অন্ধবিস্বাস থাকে, একগোয়েমি থাকে, থাকে কিছু কুসংস্কার এবং দূর্বলের উপরে স্বলের নির্যাতন। এই সকল সামাজিক অপরাধমূলক প্রথাকে রোধ করার জন্য।
তাছাড়া বে-ওয়ারিশ লাশ দাফন ও কাফনের ব্যবস্থা করতে হবে আপনাকেই।
এসকল পদক্ষেপ নিতে যদি কোথাও কখনো সমস্যার সম্মুখীন হন। তাহলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যেহেতু আমাদের নিজস্ব একটি সংগঠনের নীতিমালা সমূহ নিজেরাই পরিচালনা করি। সেহেতু আমরা এ বিষয়ে কমবেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি এবং তা সাধারণও করে ফেলেছি।

সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করার চেষ্টা করবো। বাকিয়া আল্লাহ পাকের ইচ্ছা।
১৬/ দেশের বেকার যুবক-যুবতীদের কাজে লাগিয়ে। বেকারদের মানব সম্পদে পরিণত করতে হবে। প্রয়োজনে উন্নয়ন সামগ্রীক ক্রয় করে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
ডিজিটাল কাজের জন্য বিভিন্ন ফার্ম খুলতে হবে। যেমন – ডাটা এন্টি, গ্রাফিক্স, ফটোশপ, ভিডিও ডিটিং তার মধ্যে অন্যতমো।
১৭/ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পর্কিত কর্মস্থলের মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। বেকাী যুবক যুবতীদের দেশীও- বিদেশীও রান্নার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নকশী কাঁথা বুননএবং কাঁথা সেলাই এর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া ব্লক ও বাটিক এবং বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ প্রশিক্ষণ দিতে হনে।
[…] read more info..স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গঠনতন্ত্র […]