শাল দুধ কাকে বলে? শাল দুধ কি? – 2023

শাল দুধ কাকে বলে? শাল দুধ কি? – 2023

আজকে জানবো শাল দুধ কাকে বলে কিংবা শাল দুধ কি? এ বিষয়ে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। তাই পুরো পোস্ট জুড়ে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা।

শাল দুধ কাকে বলে
শাল দুধ কাকে বলে

 

সহজ করে বলতে গেলে, একটি শিশু জন্ম নেয়ার পর পরেই মায়ের বুকে যে দুধ আসে। তাকেই শালদুধ বলে। এই দুধ দেখতে কিছুটা হলুদ রঙ্গের ঘণো এবং আঁঠালো জাতীয়  হয়। হলুদ রঙ্গের ঘন আঁঠালো এই দুধ সাধারণত ১২ থেকে ১৩ দিন পর্যন্ত মায়ের স্তনে হয়ে থাকে। পরবর্তীতে স্বাভাবিক ভাবেই তরল দুধ তৈরি হয়ে যায়। 

 

 শাল দুধ কেনো শিশুদের জন্য প্রয়োজনঃ

আমরা জানি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের বিকল্প কিছু নেই । বিশেষ করে শিশু জন্মের পরে যে শাল দুধ তৈরি হয় তা অত্যান্ত জরুরী। তবে মাঝে মাঝে দেখা যায় যে, অনেকেই শাল দুধের গুনাগুন না জানার কারনে। এই শাল দুধ ফেলে দেন। 

আমি তাদের উদ্দেশ্য করে বলছি- আজকে থেকে আর কখনোই আপনার এই ভুল কাজটি করবে না। কেননা, শাল দুধে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রোটিন যা শিশুর শরীরে এন্টিবডি তৈরী করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সাধারণ তরল দুধে র চেয়ে এই শাল দুধ ১০ গুন বেশী কার্যকরী ভূলিকা রাখে।

আপনারা দেখে থাকবেন, শাল দুধ পরিমানে অনেক কম হয়। এ কারণে অনেকেরই মনে ভুল ধারনার সৃষ্টি হয়। মানে তারা মনে করেন এতটুকু শাল দুধ খাওয়ালে বাচ্চার ক্ষুদার চাহিদা মিটবে না।তাই এই শাল দুধ স্থন থেকে চেপে ফেলে দিয়ে তাড়াতাড়ি করে তরল দুধ বের করে থাকেন।

 

সাবধান, আপনার ভুলেও এই কাজটি করবে না। কেননা শিশু তার প্রয়োজন মতো স্বাভাবিক ভাবেই দুধ পান করে। কম পরিমানে দুধ বের হওয়ায় বাচ্চারা বার বার স্তন চুশতে থাকে। আট এ কারনেই ১৩ দিনের ভিতরেই এই শাল দুধ বের হয়ে যায়। এবং তরল দুধ আসতে শুরু করে।

 

মায়ের বুকের দুধের গুরুত্ব কেনোঃ

মায়ের বুকের দুধ হলো -আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া, বান্দার জন্য একটি নেয়ামত। শিশু জন্ম থেকে প্রায় ২ বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করে। 

আর যারাই ২ বছর পর্যন্ত বুকের দুধ পান করবে। তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করা অনেক বৃদ্ধি পাবে। যা অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় ১০গুন বেশি এন্টিব ডি তৈরি হবে। 

এরই ফলশ্রুতিতে শিশুর শরীরে অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে। এজন্যই মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

শাল দুধের উপকারিতা কি কি?

তাহলে মোটামুটি ভাবে জানতে পারলাম। বাচ্চাদের জন্য শাল দুধের মধ্যে অনেক উপকার রয়েছে। এসবের মধ্যে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে।তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ-

 

  • তরল হওয়ার ফলে সহজেই হজম হয়।
  • উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টি টক্সাইড রয়েছে।
  • সোডিয়াম।
  • পটাসিয়াম।
  • ক্লোরাইড।
  • জিঙ্ক।
  • ক্যালসিয়াম।
  • লেক্টোফেরিন।i
  • ব্যাক্টোরিয়া ভাইরাস প্রতিরোধক।
  • হাড় মজবুত করতে বিশেষ সহায়তা করে।

   

 See More >> ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয়

 

এছাড়াও আরও জটিল ও কঠিন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই শাল দুধ বা মায়ের বুকের দুধ পান করার ফলে।

শাল দুধ কাকে বলে
শাল দুধ কাকে বলে

 

এক কথায় বলতে গেলে, ভিটামিন ডি এর অভাবের সময়। ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে। তার পরামর্শ ও নির্দেশনা মেনে চলাই উত্তম।

ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয়

ভিটামিন ডি এর অভাবে প্রায়ই শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস স্তরের সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে হাড়ে দুর্বলতা, মাংসপেশীর সমস্যা, চোখের সমস্যা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে। এই সমস্যাগুলি সামান্য খাবার ও সূর্যের আলোর মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব। যদি প্রয়োজন হয়, ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টস নিতে পারেন।

 

শেষ কথাঃ

গরুর শাল দুধের উপকারিতা

তাহলে এই পোষ্ট  থেকে আমরা জানতে পারলাম। শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। একাধিক গবেষণায় রয়েছে- যে সকল বাচ্চারা পূর্ণ সময় ধরে মায়ের বুকের দুধ পান করে। বড় হলে তাদের ভালোবাসা দায়িত্ব ও কর্তব্যবান হয়ে থাকেন| তাই মা ও শিশু উভয়েরই সুস্বাস্থ্যের জন্য  দুধ পান করা ও করানো জরুরী। 

Read More >>  ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয়

 আজ এখানেই শেষ করলাম। কথা হবে দিন, ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন। শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখুন। আল্লাহ হাফেজ।

যে কোন প্রয়োজনে আমাূের সাথে যোগাযোগ করতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

 

 

4 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *